3 সার ব্যবস্থাপণাঃউপকূলীয় এলাকার জমি অনুর্বর হওয়ায় প্রতিবছর কমপÿÿ ১ বার ১০-১৫ টন/হেক্টর হারে জৈব সার (পচা গোবর/কম্পোষ্ট) প্রয়োগ করা প্রয়োজন। এতে জমিতে বিদ্যমান সোডিয়ামের আধিক্য হ্রাস পায়। যার ফলে মাটিতে বায়ু চলাচল বৃদ্ধি ও উপকারী অনুজীবের কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়। যে সকল জমিতে আকষ্মিক বন্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকে সে সমসত্ম জমিতে পটাশ সার ২/৩ ভাগ জমি তৈরির আগে বাকি ১ ভাগ বন্যার পানি চলে গেলে উপরি প্রয়োগ করতে হবে। লবণাক্ততার বিভিন্নতা ভেদে জীপসাম সারের ব্যবহার ১০-১২% হারে বৃদ্ধি (জীপসাম সারের মাত্রা জমিতে সোডিয়ামের পরিমানের উপর নির্ভর করে) করতে হবে।
প্রতিস্থাপনযোগ্য মৃত্তিকা সোডিয়াম | জীপসাম সারের পরিমান (CaSo4.2H2O) | |
কেজি/হেক্টর | কেজি/একর-ফুট ক | কেজি/একর-৬ ইঞ্চি খ |
৮২.৮০ | ১৭০০ | ৯০০ |
১৬৫.৬০ | ৩৪০০ | ১৭০০ |
২৪৮.৪০ | ৫২০০ | ২৬০০ |
৩৩১.২০ | ৬৯০০ | ৩৪০০ |
৪১৪.০০ | ৮৬০০ | ৪৩০০ |
৪৯৬.৮০ | ১০৩০০ | ৫২০০ |
ক১ একর-ফুট মাটির ওজন প্রায় ১.৮ x১০৬কেজি খ১ একর-৬ ইঞ্চি মাটির ওজন প্রায় ০.৯ x১০৬কেজি |
পতিত জমিতে ধৈঞ্চা চাষাবাদের মাধ্যমে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। উলেস্নখ্য, যে কোন ফসল চাষাবাদ ও সার প্রয়োগের পূর্বে মাটি পরীক্ষা করে সে অনুযায়ী সার প্রয়োগ করা জরম্নরী। এছাড়া উপকূলীয় এলাকার জন্য স্প্রে পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট মাত্রায় যে সমসত্ম পুষ্টি উপাদান কম পরিমাণে লাগে (মাইক্রো উপাদান) সে সমসত্ম উপাদান যেমন দসত্মা, বোরন ও আয়রন প্রয়োগের ফলে শতকরা ২৫ ভাগ সার সাশ্রয় করা সম্ভব (Rahman et. al, 2014)।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS